Susmita Roy-Sabyasachi Chakraborty:“আমি সেলিব্রিটি ভাইয়ের দাদা হব,সেলিব্রিটি বউয়ের বর হব আর আমার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে হেডলাইন হবে না!”,খানিক ক্ষোভের সুরেই বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে সাংবাদিক সব্যসাচী
টেলি অভিনেত্রী সুস্মিতা রায়। একসময় টেলিভিশনের ছোটপর্দা থেকে নিজের কর্মজীবন শুরু করলেও এখন সে একজন সদ্য সফল ব্যবসায়ী। বাংলার ছোটপর্দা থেকে যদিও বেশ অনেকদিনই দূরে রয়েছেন অভিনেত্রী। তাঁকে বর্তমানে রুপালি পর্দায় দেখা না গেলেও সমাজমাধ্যমের অতি পরিচিত মুখ। সম্প্রতি তিনি নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান শুরু করেও পৌঁছে গেছেন অনেক মানুষের কাছে।
তাঁকে নিয়ে বর্তমানে অনুরাগীদের চর্চার অন্ত নেই। বর্তমানে অন্যতম আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে তিনি ও তাঁর পরিবার। অভিনেত্রী সুস্মিতা রায়ের নিজস্ব পরিচয় ছাড়াও রয়েছে আরও বেশ কিছু পরিচয়। তিনি অভিনেতা সায়ক চক্রবর্তীর দাদা, সাংবাদিক সব্যসাচী চক্রবর্তীর স্ত্রী। অর্থাৎ, অভিনেতার বৌদি।
সম্প্রতি সব্যসাচী ও সুষ্মিতার বিয়ে ভাঙ্গার গুঞ্জন উঠলে, তাঁরা তাতে সিলমোহর দিয়েছেন অভিনেত্রীর জন্মদিনের দিনই। চলতি বছর ১লা জুলাই ছিল অভিনেত্রীর জন্মদিন আর সেইদিন সকালেই স্বামী সব্যসাচী এক আবেগঘন শুভেচ্ছা বার্তা দিয়ে তাঁদের বিচ্ছেদ ঘোষণা করেন সমাজমাধ্যমে।
আরও পড়ুন:Prosenjit Chatterjee:বাংলা ভাষা বিতর্কে মুখ খুললেন প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জী
সেই পোস্ট চোখে পড়তেই যদিও বা চটেছেন বেশ কিছু অনুরাগী। তাঁদের বিচ্ছেদ ঘোষণায় আবার মন ভেঙ্গেছে তাঁদের অনেক শুভাকাঙ্খীর।
অনেকেরই মনে প্রশ্ন জেগেছে “বিচ্ছেদের মতো একটা বেদনাদায়ক ঘোষণা কেন জন্মদিনের মতো একটা শুভ দিনেই”? আবার অনেকেই তাঁদের এই সিদ্ধান্তে পরামর্শ দিয়েছেন “একসাথে বসে কথা বলার”।
তাঁদের বিচ্ছেদ নিয়ে অভিনেত্রী সুস্মিতা রায় ও অভিনেতা সায়ক চক্রবর্তীর নানান মন্তব্য সংবাদ শিরোনামে উঠে এলেও সব্যসাচীর তরফ থেকে মেলেনি কোনও প্রতিক্রিয়া।
তবে অবশেষে এবিষয়ে মুখ খুললেন সাংবাদিক সব্যসাচী চক্রবর্তী। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয়,তাঁদের বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত হঠাৎ কেন? তিনি জানিয়েছেন,”কারোর সাথে কারোর বিচ্ছেদ কেন,এটা একান্তই তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। একহাতে কখনওই তালি বাজে না। দু’হাতেই গন্ডগোল ছিল। দু’তরফেই অনেক কিছু মেলেনি। আর সমস্যাটা এই পর্যায়ে হয়েছিল যে আর একসাথে থাকা যায়নি। আর সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত।”
অবশ্য তাঁকে তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে অনেকেই আরেকবার ভাবতে বা কথা বলে আলোচনা করতেও বলেছিলেন। এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি কটাক্ষের সুরে জানান,”আমি কথা বলি,আমি কথা বলি বলে অফিস আমাকে মাইনে দেয়। কথাটা আমি ভালো বলতে পারি। আলাপ,আলোচনা,একটা পারস্পরিক সিদ্ধান্তের ভিত্তিতেই এই জায়গাতে আমরা এসেছি। কেন,কি বৃত্তান্ত সেটা ব্যক্তিগতই থাক।”
তাঁদের এই সিদ্ধান্ত হঠাৎ অভিনেত্রীর জন্মদিনেই কেন সমাজমাধ্যমে প্রকাশ করলেন? এবিষয়ে তাঁকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন “তাঁদের একসাথে জন্মদিন পালন না করতে দেখলে অনুরাগীদের মনে এমনিতেই প্রশ্ন জাগত, লোকে নানান রকম প্রশ্ন করত। জন্মদিনের দিন কেন, এটারও একটা কারণ আছে,সেটা প্রত্যেকটা জন্মদিনেই সেই কারণটা হয়। সেটা দুজনেই আমরা খুব ভালো করেই জানি। আমার মনে হয় সেটা একান্তই খুব ব্যক্তিগত,তাই ব্যক্তিগতই থাক।”
প্রসঙ্গত,তাঁদের বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে তুমুল সমালোচনাকে তিনি কিভাবে নিচ্ছেন জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন,“সেলিব্রিটি ভাইয়ের দাদা হবে,সেলিব্রিটি বউয়ের বর হবে,আর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে হেডলাইন হবে না!”,খানিক ক্ষোভের সুরেই বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে সমালোচনা নিয়ে জবাব দেন তিনি।
এছাড়াও তিনি জানান পারিবারিক ব্লগে তাঁর উপস্থিতি সবসময় তাঁর পছন্দ ছিল না, তা তাঁর ভাই ও স্ত্রী দুজনেই জানতেন। তাও তাঁকে মেনে নিতে হয় এসব কারণ তিনি সম্পর্কগুলোকে অস্বীকার করতে পারেন না। তাই সম্পর্কের চাহিদাতেই তিনি ব্লগে আসেন।
তাঁরা আবারও একসাথে হতে পারে কি না জিজ্ঞেস করা হলে তিনি অকপটেই উত্তর দেন “এখন তো আপাতত কোনও সম্ভাবনা নেই। তারপর দেখা যাবে।”
সব্যসাচীর কোনোরূপ ভণিতা ছাড়া অকপট স্বীকারোক্তি মন কেড়েছেন অনেকেরই। কোনও কথা অন্তরালে না রেখে যা ব্যক্তিগত তা ব্যক্তিগত রেখে যেটুকু দর্শকদের জানানো উচিত বলে মনে হয়েছে, তা খুব সাবলীলভাবেই বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি, কোনোরূপ কুৎসা না বিদ্বেষ না ছড়িয়েই।