Bangladesh Jet Crash:”আজ আমাদের কোনো হোমওয়ার্ক নেই! বুকটা ভেঙে যাচ্ছে, মনে হচ্ছে ধ্বংসস্তূপ থেকে শিশুদের আর্তনাদ ভেসে আসছে!” বিমান দুর্ঘটনায় দু চোখের পাতা এক করতে পারছেন না জয়া আহসান, চঞ্চল চৌধুরী।
“আজ আমাদের কোন হোমওয়ার্ক নেই! বুকটা ভেঙে যাচ্ছে,মনে হচ্ছে ধ্বংসস্তূপ থেকে শুধুই কচিকাচাদের কান্না, আর্তনাদ ভেসে আসছে!”
ঢাকার বিমান দুর্ঘটনায় দু’চোখের পাতা এক করতে পারছেন না জয়া আহসান, চঞ্চল চৌধুরী।
আরও এক হাড়হিম করা বিমান দুর্ঘটনা। চলে গেল নিষ্পাপ শিশুর প্রাণ।আহমেদাবাদের বিমান দুর্ঘটনার রেশ না কাটতেই ঘটনার পুনারবৃত্তি এবার ঢাকায়। আহমেদাবাদের ঘটনায়, সেইবার বিমান ভেঙে পড়েছিল মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রাবাসের উপর। এবারে ক্লাস চলাকালীন স্কুলের উপরে ভেঙে পড়ল বাংলাদেশ বায়ুসেনার বিমান। সোমবার ঘটে যাওয়া সেই মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী থাকল গোটা দেশ। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে থেকে ভেসে আসা শিশুদের সেই আতর্নাদ কানে বাজছে জয়া আহসান, চঞ্চল চৌধুরীদের।
সোমবার স্কুলের ক্লাস তখনও শেষ হয়নি। কোনো কোনো শ্রেণীকক্ষে তখনও শেষপর্যায়ের ক্লাস চলছে। আচমকাই এক বিকট শব্দে স্কুলের উপর ভেঙে পড়ল বিমানটি। তৎক্ষণাৎ বিস্ফোরণ। দাউদাউ করে জ্বলতে শুরু করে স্কুল ভবনের একাংশ। একসঙ্গে ঝলসে যায় প্রায় শ’দুয়েক ছাত্র।
আরও পড়ুন:Urfi Javed:ঠোঁট মুখ ফুলে একাকার,লিপ ফিলিং করাতে গিয়ে ভয়াবহ পরিণতি উরফির! তুমুল কটাক্ষ নেটপাড়ায়
ওই স্কুলের যে অংশে বিমানটি ভেঙে পড়ে সেখানে প্রাথমিকের প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির ক্লাস হত। তৃতীয় এবং চতুর্থ শ্রেণির কক্ষের সামনে বিমানটি ঢুকে যায়। সেই সময়ে ওই দুই শ্রেণিকক্ষেই ক্লাস চলছিল।
এক মুহূর্তেই সবশেষ। ধ্বংসস্তূপ থেকে শুধুই কচিকাচাদের কান্না, আর্তনাদ। মুহূর্তের মধ্যে প্রায় শ্মশানে পরিণত হয় জায়গাটি।
সূত্রের খবর,দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২৭। আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে দেড়শোর বেশি। তবে নিহত ও আহতের অধিকাংশই শিক্ষার্থী।
এমন ভয়াবহ দুর্ঘটনায় বারবার মন কেঁদে উঠছে অভিনেত্রী জয়া আহসানের। সোশ্যাল মিডিয়ায় দুর্ঘটনা সংক্রান্ত নানান পোস্ট করছেন অভিনেত্রী। দু’চোখের পাতা এক করতে পারছেন না তিনি। অভিনেত্রী জানান,”আমি টেলিভিশনের দিকে তাকাতে পারছি না। এতগুলো কচি কচি বাচ্চার এমন দুর্ভাগ্যজনক বিদায়, কীভাবে মেনে নেওয়া যায়! আহারে, এই বাচ্চাদের মা-বাবারা তাঁদের শূন্যতার ভার কীভাবে বইবেন? তাঁদের মনে শক্তির সঞ্চার ঘটুক। যে বাচ্চারা আহত হল, তারা যেন সুস্থ-স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে, সেই প্রার্থনাই করি।”
শোকপ্রকাশ করেছেন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। লিখছেন,”চোখ বন্ধ করলেই পাখিদের চিৎকার শোনা যাচ্ছে। অথবা, আজ আমাদের কোন হোমওয়ার্ক নেই! বুকটা ভেঙে যাচ্ছে। মনের অজান্তেই চোখ ভিজে যাচ্ছে বারবার। এগুলো দুঃস্বপ্ন হলে বেঁচে যেতাম। হায়রে নিয়তি। এগুলোই সত্যি, এগুলোই বাস্তব।”
শোকপ্রকাশ করেছেন স্বনামধন্য পরিচালক তথা বাংলাদেশের তথ্য-সংস্কৃতি মন্ত্রকের উপদেষ্টা মোস্তাফা সরওয়ার ফারুকী। তিনি জানান,”এমন মর্মান্তিক ঘটনা। অনেকের অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক! তাদের বেশিরভাগই ছোট বাচ্চা।”