Dance Bangla Dance Controversy:’দয়া করে ওকে কেউ ভুল বুঝবেন না চন্ডালিকা নৃত্যনাট্যে ওর কোনো ভূমিকা ছিল না,এটা পুরোটাই ওকে করানো হয়েছিল…’ ফেসবুকে এসে অনুষ্কার পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ করলেন তার বাবা
‘অনুষ্কা আর নেই,ও আউট হয়ে গেছে বা ওকে এলিমিনেট করে দেওয়া হয়েছে, দয়া করে ওকে কেউ ভুল বুঝবেন না…’ সামাজিক চাপ ও ট্রোলের মুখে অনুষ্কা ও তার পরিবার। ফেসবুকে এসে মেয়ের পাশে দাঁড়ানোর জন্য অনুরোধ করলেন বাবা
বিগত কয়েকদিন আগে ‘চণ্ডালিকা’ নৃত্যনাট্যের পরিবেশনা করা হয়েছে ‘ডান্স বাংলা ডান্স’-এর মঞ্চে। যেখানে প্রতিযোগী অনুষ্কা চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে এই পারফর্মম্যান্সে অংশ নিয়েছিলেন অভিনেত্রী দেবলীনা দত্ত। অনুষ্কা নৃত্য পরিবেশন করেছেন ‘প্রকৃতি’র ভূমিকায় আর দেবলীনা নৃত্য পরিবেশন করেছেন ‘আনন্দ’-এর ভূমিকায়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা নৃত্যনাট্য ‘চণ্ডালিকা’য় ৭০-এর দশকের জনপ্রিয় হিন্দি গান, ‘তেরে বিনা জিন্দেগি মে কোই, শিকবা তো নেহি’-র প্রয়োগ। আর এতেই বিরক্ত হয়েছিলেন আপামর বাঙালি। রেগে গিয়েছিলেন তারকা থেকে সাধারণ মানুষ।
অনেকেই দেবলীনাকে নানা কটাক্ষ করেছেন। ‘অশিক্ষিত’ বলে দাগিয়ে দেন অভিনেত্রীকে। অবশ্য দেবলীনা জানিয়েছিলেন,”এর আগে আমি তিনবার চণ্ডালিকার ‘প্রকৃতি’ করেছি। রবীন্দ্রনাথের এই লেখা আমার সবচেয়ে প্রিয়। ‘চণ্ডালিকা’ নিয়ে আমি অনেক পড়াশোনাও করেছি।”
ট্রোলের সম্মুখীন হতে হয়েছে প্রতিযোগী অনুষ্কা চ্যাটার্জীকেও। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে সমাজের নানান মানুষ তাকে নিয়ে নানান কটাক্ষ করেছেন। যার জেরে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে অনুষ্কা এমনটাই জানিয়েছেন বাবা অনিরুদ্ধ চ্যাটার্জী। সমাজমাধ্যমে একটি ভিডিও শেয়ার করে কিছু অজানা তথ্য সবার সঙ্গে ভাগ করে নিলেন তারা। ভিডিওটিতে অনুষ্কার বাবাকে বলতে শোনা যায়,যেহেতু ওর ১৮ বছর বয়স হয়নি তাই মেয়ের সাথে ভিডিওতে দেখা গেল তার বাবাকে। তিনি জানান,’ডান্স বাংলা ডান্স’ শো’তে অনুষ্কা আর নেই, ও আউট হয়ে গেছে বা ওকে এলিমিনেট করে দেওয়া হয়েছে। সেটা হতে পারে ‘চন্ডালিকা’ নৃত্যনাট্যের কারণে। ওনারা নিশ্চয়ই কিছু ভালো বুঝেছেন,ভালো ভেবেছেন তাই করেছেন। তার জন্য এই নিয়ে আমাদের কোনো আক্ষেপ বা ক্ষোভ নেই। আমার শুধু একটাই কথা আপনারা ওকে ভুল বুঝবেন না। ‘চন্ডালিকা’ নৃত্যনাট্য ওর তৈরি করা নয়। এটা পুরোটাই প্রোডাকশন হাউস থেকে যেমনভাবে দেখানো হয়েছিল,যেভাবে করানো হয়েছিল,ও শুধু সেইটুকুতে অংশগ্রহণ করেছে মাত্র। আমরা হঠাৎ করে জানতে পারি আমাকে মেয়েকে একটি ‘চন্ডালিকা’ নৃত্যনাট্যের ভূমিকায় দেওয়া হবে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তো আমাদের আবেগ। তাই যখন শুনলাম অনুষ্কা যখন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কোন গল্পের অংশ হতে পারবে তখন আমরা খুব উত্তেজিত হয়েছিলাম এটা দেখার জন্য। নিশ্চয়ই খুব ভালো কিছু একটা হবে। কিন্তু যখন জানতে পারি ব্যাকগ্রাউন্ডে কোন একটা হিন্দি মিউজিক ব্যবহার করা হবে,সেটা শুনে আমরা একটু অবাক হয়েছিলাম। কিন্তু আমরা অতটা ভাবিনি। যেহেতু জি বাংলা থেকে করছে নিশ্চয়ই ভালো কিছু হবে। এই ধরনের রিয়ালিটি শো বা টিভি শোতে আমাদের কোন অভিজ্ঞতা ছিল না। এধরনের রিয়ালিটি শো গুলোতে প্রতিযোগীদের কোন ইচ্ছা বা অনিচ্ছার কোনো দাম থাকে না। ওখানে প্রোডাকশন হাউস থেকে যেটা দেওয়া হয় সেটা অংশগ্রহণকারীরা করতে বাধ্য থাকে। কি গান হবে তার সঙ্গে কি নাচ হবে,তার কি পোশাক হবে, কিভাবে স্টেজ সাজানো হবে সবকিছুই দেওয়া হয় সেটা প্রোডাকশন হাউস বা কোরিওগ্রাফার বা সেখানে যারা পরিচালন কমিটি থাকে তারাই এই সবকিছু নির্ধারণ করেন। সেখানে প্রত্যেকটা নাচের স্টেপও দেওয়া থাকে, সেগুলো ওনাদের তৈরি করা থাকে।
এরপর বাবার সাথে সহমত জানিয়ে অনুষ্কাকে বলতে দেখা যায়, এখানে আমাদের কিছুই থাকেনা। ওনারা যা বলেন সেই অনুযায়ী করতে হয়। ওনারা নিশ্চয়ই ভালো বুঝেই করেন, তো আমাদের সেটাই করতে হয়। আমরা এটা করব বা এটা করব না এরকম কোন ব্যাপার থাকে না।
‘চন্ডালিকা’ নৃত্যনাট্যে যেখানে অনুষ্কার কোনো ক্রিয়েটিভিটির ভূমিকা ছিল না,ও শুধুমাত্র ওখানে ওই পজিশনটা হোল্ড করেছিল। এটা পুরোটাই ওকে করানো হয়েছিল এখানে ওর কোন ভূমিকা ছিল না। আপনাদের সকলকে অনুরোধ করছি কেউ ভুল বুঝবেন না।”