Manasi Sinha:’মমতা শঙ্করদি পুরানো দিনের মানুষ,উনি সময়ের সঙ্গে নিজেকে পাল্টাতে পারেননি,উনি যা বলেছেন আমি বিশ্বাস করিনা…”,বিতর্কের মাঝে হঠাৎ কি বললেন মানসী সিনহা?
“আমার মতে উনি যা বলেছেন তা আমি বিশ্বাস করি না, মানিও না…”,মমতা শঙ্করের স্যানিটারি ন্যাপকিন নিয়ে ব্যক্তিগত মতামতকে কোন চোখে দেখছেন পরিচালক-অভিনেত্রী মানসী সিনহা?
মমতা শঙ্করের মন্তব্যে সোশাল মিডিয়ায় সৃষ্টি হয়েছে চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি। নেটপাড়ায় অভিনেত্রীর দিকে ধেয়ে আসছে একের পর এক তীক্ষ্ণ বান। “সমাজ এগোচ্ছে না পিছোচ্ছে? বাবা বা সন্তানকে দিয়ে স্যানিটারি ন্যাপকিন কেনানো আসলে লজ্জার বিষয়।” স্যানিটারি ন্যাপকিনের বিজ্ঞাপন ও অন্তর্বাসের খোলাখুলি বিজ্ঞাপন নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন অভিনেত্রী।
সম্প্রতি মমতা শঙ্করের এমন ব্যক্তিগত মন্তব্য সামনে আসার পরেই অভিনেত্রীর মানসিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নেটিজেনরা। কেউ লিখেছেন,’একেবারে টিপিক্যাল অসভ্য,নীচ, রিগ্রেসিভ মহিলা।’
এই প্রসঙ্গে অভিনেত্রী-পরিচালক মানসী সিনহার মত ভিন্ন। তিনি জানিয়েছেন,তাঁর যমজ ছেলে-মেয়ে। প্রথম থেকেই তিনি বাড়িতে তেমনই পরিবেশ তৈরি করেছেন যেখানে কোনও রকম ‘সামাজিক ট্যাবু’র জায়গা নেই ৷
তিনি বলেন,”আমার মতে উনি যা বলেছেন তা আমি বিশ্বাস করি না, মানিও না। অনেককেই দেখছি সোশাল মিডিয়ায় ওনাকে অশ্লীল ভাষায় আক্রমণ করছেন। সেটা উচিত নয়। উনি একজন সিনিয়র মানুষ৷ আমার ছেলে যখন মান্থলি শপিং করতে যায় তখন আমার মেয়ে বৃষ্টি স্যানিটারি ন্যাপকিনও কিনে নিয়ে আসে।”
তিনি আরও বলেন,”ওরা যখন একসঙ্গে খেলে, তখন বৃষ্টির যদি পিরিয়ডস চলে, আমার ছেলেই বন্ধুদের বলে, বৃষ্টিতে বেশি যাতে দৌড়াদৌড়ি না করানো হয়৷ ওর শরীর ভালো নেই। আসলে আমার বাড়িতে এইসব নেই। আমি ছোট থেকেই ছেলেকে শিখিয়েছি, বোনের দায়িত্ব তোমার। আর দায়িত্ব মানে সবদিকের দায়িত্ব। তার মধ্যে এটাও পড়ে। আর মেয়েকে বলেছি, এটা তোমার কাছে সম্মানের। তোমার পিরিয়ডস হচ্ছে মানে তুমি মা হওয়ার উপযুক্ত। এটা লুকিয়ে রাখার জিনিস নয় স্বাভাবিক। এটা ভীষণ গর্বের বিষয় একটা মেয়ের কাছে। মমতা শঙ্করদি পুরানো দিনের মানুষ। উনি সময়ের সঙ্গে নিজেকে পাল্টাতে পারেননি। পাল্টানো মানে ভুলগুলি মেনে নেওয়া নয়।”
পরিচালকের কথায়,”এই যে মেয়েরে ছোট ছোট জামা কাপড় পরে নিজেদের এক্সপোজ করে, এটা যে সবসময় সর্বক্ষেত্রে আমারও যে ভালো লাগে তা কিন্তু নয়। তার কারণ সবাই ওই ধরনের পোশাক ক্যারি করতে পারে না। যারা ক্যারি করে তাদের দেখে ভালো লাগে। কিন্তু যারা নকল করছে, নিজেদের শরীরের গঠন না ভেবে তাদের দেখতে অন্যরকম লাগে। তারা পড়ছে কারণ তাদের ভালো লাগে। কিন্তু এটা নিয়ে যদি কেউ বলেন, ছোট পোশাক পরা মেয়েদের দেখে, ছেলেদের অন্য মেয়েদের ধর্ষণ করার প্রবণতা বাড়ে, তাহলে কি ধরে নিতে হয়, যবে থেকে এদেশে ছোট জামা ঢোকেনি তার আগে দেশে কোনও মেয়ে ধর্ষিতা হননি! এটা হয় কখনও?”