Mousumi Bhattacharya On Mamata Shankar Statement:স্যানিটারি ন্যাপকিন বিতর্ক নিয়ে সমালোচকদের জবাব দিলেন অভিনেত্রী মৌসুমী ভট্টাচার্য
“আজকে একটা ছেলে যদি তাঁর স্ত্রী বা বান্ধবীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গঠন করতে চায় তাহলে সে কি তাঁর বাবা-মাকে বলতে পারবে, কন্ডোমটা কিনে এনে দাও!…” বিতর্কের কেন্দ্রে মমতা শঙ্কর, স্যানিটারি ন্যাপকিন বিতর্ক নিয়ে পাল্টা যুক্তিতে সমালোচকদের জবাব দিলেন অভিনেত্রী মৌসুমী ভট্টাচার্য
ঋতুস্রাব বা মেয়েদের পিরিয়ডস নিয়ে সমাজের যে কুসংস্কার যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। অনেকে আবার ছোঁয়াচে রোগ বলে মনে করেন এটাকে। সমাজের চাপিয়ে দেওয়া কিছু নিষেধাজ্ঞা বয়ে চলতে হয় মেয়েদেরকে। স্যানিটারি ন্যাপকিন বা প্যাড নিয়ে ব্যক্তিগত কিছু মন্তব্য করেছেন অভিনেত্রী তথা নৃত্যশিল্পী মমতা শঙ্কর। জানিয়েছিলেন তাঁর কাছে বাবা বা ছেলেকে স্যানিটারি প্যাড আনতে বলা অত্যন্ত লজ্জাজনক ব্যাপার। তাঁর এই মন্তব্যের জেরে সৃষ্টি হয়েছে নানা বিতর্ক। তাঁকেও উদ্দেশ্যে করে অনেকেই নানান কটূক্তি করেছে।
এই প্রসঙ্গে অভিনেত্রী মৌসুমী ভট্টাচার্য মমতা শঙ্করের পাশে দাঁড়িয়ে প্রশ্ন ছুঁড়েছেন সবার দিকে। তাঁর মতে, সম্মানীয় অভিনেত্রী-নৃত্যশিল্পীকে কটাক্ষ না করে, তাঁর কথাকে যুক্তি দিয়ে ভাবতে বলেছেন। মৌসুমী বলেন,”যদি না কোনও এমারজেন্সি হয় তাহলে একজন মা দুম করে ১২-১৩ বছরের ছেলেকে বা ১৮ বছরের ছেলেকে বলতে পারবে ‘তুই আমার স্যানিটারি প্যাডটা এনে দে। পারবে কি?’ একজন ২৩-২৫ বছরের মহিলা বা ৩০ বছরের মহিলা দুম করে বয়স্ক বাবাকে কি বলতে পারবে স্যানিটারি প্যাড কেনার কথা ?”
মৌসুমীর কথায়, “চিকিৎসকদের কথা আলাদা। আসলে ছোট থেকে আমরা এই বিষয়ে মা-দিদিকে বলেই অভ্যস্ত৷ ওই কালচারেই মানুষ হয়েছি। সেইদিক থেকে দাঁড়িয়ে কোনও মানুষ যদি ভোকাল হয় তাহলে অসুবিধাটা কোথায়? আমরা এত মর্ডান৷ আজকে একটা ছেলে যদি তাঁর স্ত্রী বা বান্ধবীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গঠন করতে চায় তাহলে সে কি তাঁর বাবা-মাকে বলতে পারবে, কন্ডোমটা কিনে এনে দাও! পারবে কি? অত ধকে কোলাবে না। মেয়েদের তাও ধকে কুলায়। এমারজেন্সিতে ভাইকে বা দাদাকে বা বাবাকে বলতে পারবে স্যানিটারি ন্যাপকিন কিনে এনে দেওয়ার কথা বা কাগজে লিখে দিল। কিন্তু একটা ছেলের সেই সাহস থাকবে কি বাবাকে কন্ডোমের প্যাকেট কিনে এনে দিতে বলবে?”
অভিনেত্রী আরও বলেন, “আমি মমতা শঙ্করদির কথা সাপোর্ট করছি না কিন্তু যদি এইভাবে ভাবি তাহলে উনি খুব একটা ভুল কিছু বলেননি। যতই আমরা মডার্ন হয়ে যাই না কেন বাঙালি সংস্কৃতি, শিক্ষায় মেয়েদের এইটুকু লজ্জা তো রাখতে হবে। ন্যাংটো হয়ে ঘুরে বেড়ানো মডার্ন নয়। এই আধুনিক হওয়ার চক্করে মানুষ শিক্ষাটা ভুলে যাচ্ছে৷ জানার কোনও ইচ্ছা নেই৷ কেন মমতা শঙ্কর এমনটা বলেছেন তা নিয়ে ভাবার কোনও ইচ্ছা নেই। কিন্তু তাঁকে নিয়ে সমালোচনা করা হচ্ছে। তাঁর শিক্ষা নিয়ে, কেরিয়ার নিয়ে কোনও অভিজ্ঞতা আছে কারোর? পরিস্থিতির খাতিরে বলাই যায়। কিন্তু আমাকেও ভাবতে হবে,যদি বাবা-দাদা আমাকে কন্ডোমের প্যাকেট আনতে বলে তাহলে কি সেটা ভালো লাগবে শুনতে? মমতা শঙ্করদি বুদ্ধিহীন, অশিক্ষিত বোকা মহিলা কিন্তু নন। উনি যে কথাগুলো বলে ভীষণ ভেবেচিন্তেই বলেন। এই ধরনের সংস্কৃতি দেখে বিরক্ত হয়ে বলেন।”
একজন সিনিয়র মানুষকে এমনভাবে বলা আর যাই হোক কোনো শিক্ষার পরিচয় নয় তাঁর মতে।