Rupsa-Sayandeep:‘সাইয়ারা’ দেখতে গিয়ে সকলের মতো কেঁদে ভাসালেন টলি অভিনেত্রী রূপসা চ্যাটার্জী ও তাঁর জীবনসঙ্গী সায়নদীপ সরকার।
সম্প্রতি বলিউডে অভিনেতা আহান পান্ডে ও অভিনেত্রী অনিত পাড্ডা অভিনীত ছবি “সাইয়ারা” মুক্তি পেয়েছে বড়পর্দায়।
বর্তমানের অ্যাকশন ছবির জামানায় এটি একটি খাঁটি প্রেমের গল্প নিয়ে নির্মিত। তাই এই নিপাট ভালোবাসার গল্পকে স্বাগত জানিয়েছেন বহু দর্শক। বিশেষত ভালোবাসার জুটিদের মধ্যে রোল উঠেছে কান্নার। অনেকেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছেন ছবিটি দেখতে দেখতেই সিনেমা হলের মধ্যেই। আবেগপ্রবণ হয়ে মাথা রেখেছেন সঙ্গীর বুকে। সেই সব দৃশ্য এখন কার্যত ভাইরাল সমাজমাধ্যমে।
আরও পড়ুন:Raja -Madhubani:নেটিনেজেনদের রোষের মুখে অভিনেত্রী
এখন প্রকৃতি যেমন বর্ষায় ভাসিয়ে দিচ্ছে রাস্তাঘাট, ঠিক তেমনই এই ছবি দেখে ভিজছে দর্শকদের চোখ। এই আবহের মধ্যেই অভিনেত্রী রূপসা তাঁর স্বামী সায়নদীপকে সঙ্গে নিয়েই দেখতে বেরিয়ে পড়লেন “সাইয়ারা” ছবিটি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় বরাবর নিজের জীবনের নানা মুহূর্ত ভাগ করে নেন রূপসা। তিনি তাঁর বিয়ের পর থেকে সন্তানধারণ নানানবিধ কারণে বর্তমানে বহুদিন ছোটপর্দা ও বড়পর্দার অভিনয় থেকে দূরে সরে রয়েছেন। তবে তিনি বর্তমানে নিয়মিত কনটেন্ট তৈরি করেন নিজের রোজনামচার জীবনযাপনের মাধ্যমে।
‘সাইয়ারা’ দেখতে যাওয়ার সময়ও তার ব্যতিক্রম হল না। ভিডিও অন করেই যাত্রা শুরু করলেন তিনি, আর তাতেই ধরা পড়ল তাদের দুর্বিষহ বর্ষার মধ্যে রাস্তার বেহাল দশা আর তার মধ্যেই সিনেমা যাত্রার দৃশ্য।
অভিনেত্রী জানান, “তাঁদের বাড়ির সামনেই হাঁটু জল জমে রয়েছে।” তবে তাঁদের সিনেমা যাওয়া আটকাতে পারেনি সেই জল। টোটো নিয়ে হাজির হন তাঁর স্বামী সায়নদীপ, আর তারপর তাঁরা দু’জনে মিলেই রওনা দেন সিনেমা হলের উদ্দেশ্যে।
তবে বর্ষার রাস্তায় নির্ধারিত সময়ের কিছু পরে পৌঁছান তাঁরা। টিকিট কাটতে অপচয় হয় আরও খানিকটা সময়। অবশেষে নির্দিষ্ট আসনে বসে সিনেমা দেখা শুরু করেন এই তারকা দম্পতি।
সিনেমা চলাকালীন বেশ কিছু মুহূর্তে আবেগে ভেসে যান দু’জনেই। সায়নদীপ বলেন, “কে বলে ছেলেরা কান্নাকাটি করে না? আমি নিজেই কেঁদেছি আজ।” রূপসাও জানান,”অনেকেই ভাবতে পারেন সিনেমাটি ইচ্ছাকৃতভাবে মানুষকে কাঁদাচ্ছে। কিন্তু একবার দেখলেই বোঝা যাবে—আসলে গল্পটাই এমন যা মন ছুঁয়ে যায়।”
তাঁদের ভিডিওতে এই দৃশ্য দেখে দর্শকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কেউ বা তাঁদের আবেগপ্রবণ হতে দেখে ভালোবাসায় ভরিয়েছেন। তেমনই আবার বহু নেটিজেনরা করেছেন সমালোচনা। অনেকেই বলেছেন “একটা নিপাট প্রেমের গল্প যার কিনা শেষ পরিণতি এতটাই সুখকর আনন্দদায়ক। সেই গল্পও মানুষ স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতে পারছেন না, সমাজ এতটাই বিষাক্ত হয়ে পড়েছে।”