Sayak chakraborty:”ভেঙে গেল সম্পর্কটা,ওঁরা আলাদা হয়ে যদি ভালো থাকে থাকুক…”,দাদা-বৌদির ডিভোর্স নিয়ে মুখ খুললেন সায়ক!
“সব ঠিক হয়ে যাবে ভেবেছিলাম কিন্তু…”,সুস্মিতা ও সব্যসাচীর ডিভোর্স নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন সায়ক
সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে তোলপাড় অভিনেত্রী সুস্মিতা রায় ও সাংবাদিক সব্যসাচী চক্রবর্তীর ডিভোর্সের খবর নিয়ে। দুজনেই ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কাটাছেঁড়া করতে নারাজ। টলিপাড়ায় একের পর এক ভাঙনের খবর শুনে হতাশ অনুরাগীরা।
Sayak:নিজের কোন অসুস্থতার কথা জানালেন সায়ক?
টলিপাড়ার জনপ্রিয় অভিনেতা সায়ক চক্রবর্তী। অভিনয়ের সাথে নিজের ভ্লগিংয়ের হাত ধরেই সমাজমাধ্যমে আরও জনপ্রিয়তা পেয়েছেন তিনি। জীবনে অনেক বাঁধা পেরিয়ে আজ নিজের স্বপ্ন পূরণের পথে এগিয়ে চলেছেন।কিছুদিন আগে তার দাদার সব্যসাচী চক্রবর্তী ও বৌদি সুস্মিতা রায়ের বিচ্ছেদ হয়েছে। খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন তিনি ও তাঁর পরিবার। সেই সব কিছু কাটিয়ে সদ্য নিজের জমি কিনেছেন সায়ক। স্বপ্নের বাড়ি বানানোর লক্ষ্যে নিজের মাও দাদাকে পাশে নিয়ে এগিয়ে চলেছেন তিনি। তবে দাদাও বৌদির সংসার ভাঙার খবরটা কখনই প্রকাশ্যে আনেননি এর আগে।
সুস্মিতা সায়কের বৌদির চেয়ে আগে খুব ভালো বন্ধু। তাই অভিনেতা চান দুজনেই যেন ভালো থাকেন নিজেদের মতো করে। তবে সংবাদমাধ্যমে কখনোই দাদা বৌদির বিচ্ছেদ নিয়ে কথা বলেননি তিনি।
কিছুদিন আগে এক সাক্ষাৎকারে এই বিষয়ে প্রথমবার মুখ খুলেছেন অভিনেতা। তিনি জানান,”শুধুমাত্র ওই দাদা-বৌদির সম্পর্ক নয়,সুস্মিতা তো আগে আমার বন্ধু এবং সহকর্মী। পরে আমার বৌদি হয়েছে। ওঁর সঙ্গে বন্ধুত্বটা অন্যরকম। এতদিন অনেকেই আমাকে ওঁদের নিয়ে অনেক কথা জানতে চেয়েছে। আমি চুপ করে থেকেছি। আমি ভেবেছিলাম সব ঠিক হয়ে যাবে, ঠিক হল না তো কিছুই। ভেঙে গেল সম্পর্কটা। দুজনে একসঙ্গে খারাপ থাকার থেকে আলাদা হয়ে ভালো থাকাটা খুব জরুরি। দিনের শেষে আমাদের ভালো থাকাটাই আগে দরকার, তাই ওরা আলাদা হয়ে যদি ভালো থাকে,থাকুক।”
‘কুটনি বৌদি’ ও ‘মোটা দাদা’র বিচ্ছেদ হচ্ছে। মন খারাপ সায়কের?
তিনি আরও জানান,”ওঁরা এখন আলাদা আছে। অবশ্যই ওঁর সাথে যোগাযোগ আছে। ভবিষ্যতে একসাথে অবশ্যই কাজ করব। আমাদের ওই রকম হয়নি। দাদার সাথে চুলোচুলি হচ্ছে,মারপিট হচ্ছে এরকম কখনও কিছু হয়নি। ওঁদের ওই কিছু জিনিসে সমস্যা। সেই জিনিসগুলো ভীষণভাবে তাঁদের ব্যক্তিগত। কিছু জিনিস তাঁদের মধ্যে যদি না ম্যাচ করে। জিনিস ব্যক্তিগত থাকাই ভালো। এবার সেগুলোকে বাদ দিয়ে, বাকি মানুষগুলো তো, কিভাবে আর জীবন থেকে সরাব। মানুষ তো মানুষের জায়গাতেই থাকবে।”