Sudipa Chatterjee:”কে ঠিক করে দিয়েছে সেলিব্রিটিদের সবসময় পারফেক্ট হতে হবে? তাঁরা কি সমাজ সংস্কারক,তোমরা সবাই কে কী করেছ,যে তোমার কথা শুনতে হবে?…”,মমতা শঙ্করের পাশে দাঁড়ালেন সুদীপা চট্টোপাধ্যায়! কড়া ভাষায় জবাব দিলেন বর্তমান প্রজন্মকে
“রাজনীতিবিদরা রোজ কত শত বাজে বলে যাচ্ছেন। কই, তাঁদের নিয়ে তো এত লেখা আর এ রকম হচ্ছে না?উনি আমাদের দেশের মাথা উঁচু করেছেন বহুবার। তোমরা সবাই কে কী করেছ,যে তোমার কথা শুনতে হবে?…”,বিতর্কের মাঝে মমতা শঙ্করের পাশে দাঁড়ালেন সুদীপা চট্টোপাধ্যায়! কড়া ভাষায় জবাব দিলেন বর্তমান প্রজন্মকে
কটাক্ষে জর্জরিত অভিনেত্রী তথা নৃত্যশিল্পী মমতা শঙ্কর। বারবার নানা কারণে নেটিজেনদের সমালোচনার তালিকায় উঠে আসছেন তিনি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি ঋতুস্রাব এবং সেসব সংক্রান্ত সচেতনতামূলক প্রচার অর্থাৎ যে বিজ্ঞাপন দেখানো হয়,তা নিয়ে নিজের মতামত জানিয়েছিলেন। যা শুনেই সমাজমাধ্যমে বিতর্কের ঝড়।
তিনি জানিয়েছিলেন,”স্যানিটারি ন্যাপকিনের বিজ্ঞাপনে লাল রং ঢেলে বোঝানোর কোনও প্রয়োজন আছে ঋতুস্রাব কী বা কেমন? আমি এতটা আধুনিক হতে পারিনি যে,আমার ছেলে বা বাবাকে দিয়ে ওরকম কিছু একটা কিনতে পাঠাব।” তারপর থেকেই শুরু হয়েছে তাঁকে নিয়ে নানান মন্তব্য। তবে এবার পাশে দাঁড়ালেন সুদীপা চট্টোপাধ্যায়। সমাজমাধ্যমে একটি দীর্ঘ পোস্টের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানালেন তিনি। জেন জেডকে একহাত নিলেন সুদীপা
তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, “রাজনীতিবিদরা রোজ কত শত বাজে বলে যাচ্ছেন। কই, তাঁদের নিয়ে তো এত লেখা আর এ রকম হচ্ছে না? তারকাদের সব সময় ঠিক কথা বলতে হবে কে এটা মাথার দিব্যি দিয়েছে? তিনি নিজের মতপ্রকাশ করেছেন… তো? তাঁকে এত খারাপ খারাপ কথা বলার আগে- তার বয়সটা একবার ভাববে না? বড়দের সঙ্গে এভাবে কথা বলা যায়, না বলা উচিত?”
তিনি আরও জানান,”সেলিব্রিটিদের উপর কটূক্তি (Celebrity bashing) এখন ট্রেন্ড হয়ে গিয়েছে। পান থেকে চুন খসলেই তাদের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে খাপ পঞ্চায়েত বসিয়ে দেয় নেটিজেনরা৷” এরপরেই তিনি প্রশ্ন তোলেন, “কে ঠিক করে দিয়েছে সেলিব্রিটিদের সবসময় পারফেক্ট হতে হবে? তাঁরা কি সমাজ সংস্কারক।”
অভিনেত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে সুদীপা লেখেন,”ওই স্যানিটারি ন্যাপকিনের বিজ্ঞাপন দেখতে আমার মা-ও পছন্দ করতেন না। তাঁকে আমরা আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি বোঝাতে চেষ্টা করতে পারি। কিন্তু,এভাবে আক্রমণ করাটা বোধহয় ঠিক নয়। আমি ওঁর কথা সমর্থন করছি না, তবে তোমাদের আক্রমণত্মাক ভাবটিকেও সমর্থন করতে পারছি না। সবার আগে আমরা ভারতীয়। ভারতের সভ্যতার একটা ইতিহাস রয়েছে। গ্লোবাল হতে গিয়ে সেটাকে বিসর্জন দিতে পারব না। আমি যদি নাস্তিক হই-তাহলে কি মা দুর্গার মূর্তিতে কালি ছেটাবো? কেন ছেটাব না? কারণ আমাদের সভ্যতা আর শিক্ষা সেটা allow করে না। মমদিকে আমি চিনি । ভীষণ ভালো সাদামাটা একটা মানুষ। আমি জানি উনি সবাইকে আপন মনে করেন-আর কষ্ট পান।মমতা শঙ্কর একজন বড় শিল্পী। আমাদের দেশের মাথা উঁচু করেছেন একবার নয়, বহুবার। তোমরা সবাই কে কী করেছ ভাই, যে তোমার কথা শুনতে হবে?
যারা সমালোচনা করছেন তাদের কি অবদান রয়েছে সমাজের ওপর, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন সুদীপ্তা। প্রশ্ন তোলেন, মমতা শঙ্করের মতো নাচ-অভিনয়ে পারদর্শী কি না?
তিনি বর্তমান প্রজন্মকে উদ্দেশ্য করে বলেন,”সবার আগে মনে রাখতে হবে উনি বয়সে তোমাদের থেকে অনেকটা বড়। তাই,যে কথা নিজের মা-পিসি-ঠাকুমা-দিদিমাকে বলতে পার না, সেকথা ওপেনলি সবার সামনে, ওনাকে বলছ কেন? আমাদের বাড়িতে গুরুজনের সবার সব কথা আমাদের সব সময় কি ভালো লাগে? সব কথা মানতে পারো? তখন কি তাদের ঠিক এইরকম কদর্য ভাষায় আক্রমণ করো? একবার রাগ না করে, ভেবে দেখ কথাটা?কেমন?”