Virat-Anushka:ভিগান হয়েও বিরুষ্কা খেলেন ‘সাপের মাংস’! কোন উপায়ে সাপকে নিরামিষ বানালেন? ভাইরাল এই আশ্চর্য রেসিপি
বিবাহবার্ষিকীতে সাপ খেলেন ভিগান তারকা দম্পতি বিরুষ্কা, তাও আবার নিরামিষ! কীভাবে এই অসাধ্য সাধন হল? আশ্চর্য এই রন্ধন রেসিপি ভাইরাল হল সোশ্যাল মিডিয়ায়। বিরাট কোহলি আর আনুষ্কা শর্মার বিবাহবার্ষিকীতেই কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন তারকা রন্ধনশিল্পী হর্ষ দীক্ষিত, কারণ ওই যে ভিয়েতনামের ঐতিহ্যবাহী খাবার রান্না করে খাওয়াতে হবে তাঁদের। আর এই পরীক্ষায় তিনি যে সফলভাবে পাশ করেছিলেন, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু নিরামিষ সাপ রান্না! তাও আবার হয় নাকি?8
শরীর চর্চার পাশাপাশি স্বার্থকর খাওয়া-দাওয়ায় কোনো রকম ত্রুটি রাখেন না তারকা দম্পতি বিরাট কোহলি এবং অনুষ্কা শর্মা। বহুবার বহু ইন্টারভিউতে তাঁদের বলতে শোনা গেছে, এই নিয়ে। মূলত তাঁরা যে বিকাল ৫:৩০ টার মধ্যেই ডিনার অর্থাৎ নৈশভোজ সেরে ফেলেন, সেটিও জানিয়েছেন অনুষ্কা। এর পাশাপাশি প্রায় ১০ বছর ধরেই ভিগান ডায়েটেই নিজেদের অভ্যস্থ করে তুলেছেন এই তারকা দম্পতি। কিন্তু এই যুগলকেই নাকি সাপ খাওয়ালেন তারকা রন্ধনশিল্পী হর্ষ দীক্ষিত?
দিনটা ছিল ‘বিরুষ্কা’র বিবাহবার্ষিকী, আর ওই দিনেই কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি হয়েছিলেন প্রখ্যাত রন্ধনশিল্পী হর্ষ দীক্ষিত। বিশেষ দিনে, বিশেষ খাবার দিয়েই উদযাপন করতে চেয়েছিলেন বিরাট-অনুষ্কা। যার জন্যই বিশেষ তোড়জোড়ের সাথে ভিয়েতনামের ‘ফো’ খাবারটি রান্না করেন হর্ষ। কিন্তু সেই রান্নার মূল উপকরণই যে সাপ তথা সাপের মাংস! এই রেসিপি তৈরি হয় সাপের মাংস ও সাপের ওয়াইন দিয়ে।
হর্ষ জানান, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে বিরুষ্কার বিবাহবার্ষিকীতে এই বিশেষ পদটি রান্না করে খাওয়ান তিনি। ঐতিহ্যবাহী ‘ফো’ বানানো হয় আমিষ উপকরণ দিয়েই। খাবারে সাপের মাংসের পাশাপাশি থাকে মুরগি আর গরুর মাংস। থাকে নুডুলসও। এক কথায় ভিগান দম্পতিকে এইসব উপকরণ ছাড়াই গ্লুটেন মুক্ত ‘ফো’ বানিয়ে চমকে দেন হর্ষ। নুডুলস এর জায়গায় ব্যবহার করা হয় রাইস নুডলস।
তবে শুধু নুডলস গ্লুটেন মুক্ত করলেই তো হবে না! ভিয়েতনামের এই খাবারে ব্যবহৃত ‘সাপের মাংস’ কীভাবে ব্যবহার করবেন ভিগান দম্পতির খাবারে? ঐতিহ্যবাহী ভিয়েতনামি খাবার বানাতে সাপ অপরিহার্য, ঐতিহ্য বজায় রাখতে গিয়ে ভাঙা যাবে না নিয়মের গণ্ডি। এই সমস্যার সমাধানেই প্রখ্যাত রন্ধনশিল্পী ব্যবহার করেন একেবারেই ‘নিরামিষ সাপ’। কিন্তু সাপের মাংস কীভাবে নিরামিষ হয়ে গেল? মনে নিশ্চয়ই এই প্রশ্নই জাগছে?
আসলে রন্ধনশিল্পী হর্ষ ‘স্নেক গোর্ড’ নামে পরিচিত সবজিটিকেই রান্নার মূল উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করেন। এর ফলে কোনভাবেই ভঙ্গ হল না বিরুষ্কার ১০ বছরের নিয়ম। কিন্তু কী এই ‘স্নেক গোর্ড’? ‘স্নেক গোর্ড’ হল আমাদের সকলের চেনা সাপের মত চেহারার সবজি চিচিঙ্গে। আর এই সবজি দিয়েই ঐতিহ্যবাহী ভিয়েতনামি পদ ‘ফো’ বানিয়ে বিরাট-অনুষ্কাকে খাইয়েছিলেন রন্ধনশিল্পী হর্ষ দীক্ষিত। সাপের মতো চেহারার সবজি দিয়ে এই খাবারের ঐতিহ্যের মান বজায় রেখেছিলেন রন্ধনশিল্পী। অথচ খাবারটিও থাকল সম্পূর্ণরূপে নিরামিষ বা ভিগান।
ঐদিন সম্পূর্ণ নৈশভোজের মেনু প্রস্তুত করে তারকা দম্পতির কাছে পাঠানো হয়। কিন্তু ‘বিরুষ্কা’র অ্যানিভার্সারি পার্টিতে কি ভিয়েতনামি ‘ফো’ জায়গা করে নিতে পেরেছিল? দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ নৈশভোজের মেনুতে গ্রিন সিগনাল আসে তারকা দম্পতির তরফ থেকে। খবর পাঠানো হয় রন্ধন শিল্পীর কাছে।
মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এই ঐতিহ্যবাহী পদ রান্না করে দম্পতির সামনে তুলে ধরতে হয় হর্ষকে। দুপুর থেকে সন্ধ্যার মধ্যে পাঁচটি খাবার বানিয়ে সম্পূর্ণ মিল তৈরি করেন হর্ষ। প্রতিটি পদই আদ্যন্ত ভিগান। এর মধ্যেই একটি পদ ভিয়েতনামি নিরামিষ সাপের মাংস তথা ‘স্নেক গোর্ড’ দিয়ে তৈরি ঐতিহ্যবাহী রান্না ‘ফো’। ঐদিন তারকা দম্পতির বাড়িতেই ঘনিষ্ঠদের নিয়ে পার্টি হয়েছিল আর সেখানে যে এই ভিয়েতনামি ডিস সকলের মন জয় করে নেয়, তা বলাইবাহুল্য।